ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, এটি বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে।’
যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি একুশ শতকে ইন্টারনেট শিশু-কিশোরদের জন্য খুলে দিয়েছে জ্ঞানের অপার সম্ভাবনা। করোনাকালীন ইন্টারনেটে পড়াশোনার পাশাপাশি নানা ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তারা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করেছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিকই রয়েছে।
রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত বছর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর নাম-ছবিসহ ভুয়া অ্যাকাউন্ট দেখতে পান। এরপর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে আর কিছু তিনি জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রী বলেন, ‘নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে সব
আমি বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। পরিবার, এমনকি বন্ধুবান্ধবের কাছেও। এসব আমি নিতে পারছি না। এমনকি সুইসাইড করার চেষ্টাও করেছি দুবার। একবার হাসপাতালে নিতে হয়েছে। তখন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে মা-বাবা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আমি সবার কথার কারণেই ডিপ্রেশনে চলে গেছি।
দেশে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে সাইবার হয়রানি। গ্রামীণ নারীরাও এর বাইরে নেই। ফেসবুক, ইমোসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রামীণ নারী ও কিশোরীরা। সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে এমন হয়রানির মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।
সাইবার বুলিং নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা অপু বিশ্বাস। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির এই সময়ে আমাদের জীবনে এসেছে যুগান্তকারী কিছু পরিবর্তন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তৃতি এনে দিয়েছে ব্যক্তিক যোগাযোগের এক নতুন যুগ। এ হলো সুখবর। এই ভালো খবরের পাশাপাশি রয়েছে মন্দ খবরও। সাইবার জগতের বড় সমস্যার নাম ‘সাইবার বুলিং’। সাইবার জগতে বিভিন্নভাবে মানুষকে হয়রানি করার ন
রাজধানীর একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নাবিলা (ছদ্মনাম)। প্রতি বছর সে ক্লাসে শতভাগ উপস্থিতির পুরস্কার পেয়ে এসেছে। কিন্তু এ বছর আগস্ট থেকে তার মা লক্ষ করেন, নাবিলা আর স্কুলে যেতে চাইছে না। ধীরে ধীরে তিনি জানতে পারেন...
দেশে সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। সিসিএ ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সিসিএ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সাইবার বুলিংয়ের মধ্যে রয়েছে ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার, পর্নোগ্রাফি কনটে
ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে একের পর এক কুরুচিকর এসএমএস, ফোন নম্বর চেয়ে বার্তা, জবাব না দিলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ছবিগুলো এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি—এমন সব ঘটনায় ভয় পেয়ে নিজের পুরোনো অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভ করেন বর্ণালি (ছদ্মনাম)। এমন ঘটনার শিকার বর্ণালি একা নন। প্র
পারিবারিক টানাপড়েন, উত্ত্যক্ত-যৌন হয়রানি, বডি শেমিং বা শরীর নিয়ে পরিহাস—ঘরে-বাইরে এ ধরনের নানা সমস্যার সম্মুখীন হন তরুণীরা। সাম্প্রতিক সময়ে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাইবার বুলিং বা অনলাইনে বিড়ম্বনা। এসব বিষয়ই চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে।
দেশের ৬৮ শতাংশ নারী সাইবার জগতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া এই নারীদের বেশির ভাগই তরুণী। ১৮-২৪ বছর বয়সী এসব তরুণীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ঘটছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।